ভালোলাগা থেকে ভালোবাসার সূত্রপাত


নিতাই ডাক নাম নিতু মোলবনা গ্রামে বাড়ি  খেলাধুলার দিকে ছোটবেলার থেকে টান , যেখানে খেলা হয় সেখানেই চলে যায় হয় খেলতে না হয় দেখতে । মোলবনা গ্রামের দহ্মিন প্রন্তে বিবেকানন্দ শিক্ষা মন্দিরের  একটা মাঠ রয়েছে যেখানে সবাই ফুটবল, ক্রিকেট  practice করে তার, পাশেই তার বাড়ি। নিতু খেলাধুলায় , ফুটবল হোক বা ক্রিকেট কোথাও ম্যাচ হলে তাকে ডাকা হয় , সেও খেলা প্রবন মানুষ হওয়ায় ছুটে আসে।
এখন সে BSC agriculture করছে সেই সূত্রে কানপুরে থাকে । আর এই দিকে মোলবনা থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে একটা গ্রামে বিশাল ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়েছে                     12 /11/2019 তারিখে আর মোলবনা কে letter দেয় , সবাই ঠিক করে খেলতে যাবে নিতু কে জানানো হয় ।সে বলে যে দিন খেলা আছে তার আগের দিন সে বাড়ি পৌঁছে যাবে , আর এন্ট্রি ফি্র অর্ধেক টাকা সে দেবে ।
সকলেই ভাবছ headline আছে এক আর গল্প শুনাচ্ছি এক , না না আসল গল্প এরপর শুরু হবে । নিতু যথারীতি বাড়ি পৌঁছে যায় , পারের দিন সকালে সবাই হরিমেলা তে জড় হয় , যারা খেলবে তা ছাড়াও অনেক আমার মতো ছেলে একসাথে দল বেঁধে আনন্দ করতে করতে সেখানে পৌচ্ছায় । সেখানে দেখি সে এক বিরাট আয়োজন , মাঠটা গ্রামের মধ্যেখানে মাঠের দু ধারে দুই একটা বাড়ি  আছে ,তার মধ্যেই একটা দুতালা বড়ো  বাড়ি রয়েছে আর সেই বাড়ির ছাদে দাঁড়িয়ে ছিল এক মেয়ে তা আমাদের সকলের চোখে পরে , আর এখন ছেলে মেয়ে দেখলে তো জোশ বেড়ে যায় আমাদের ও একই রিকেকশন হয় ।জোড়ে জোড়ে চিল্লা চিল্লি করতে থাকে । মেয়েটা দেখতে বেশ ভালো ছিল গায়ের রং ফর্সা ।
রিতিমত আমাদের খেলা শুরু হয় যদিও আমি খেলিনি , বেশ হাড্ডা হাড্ডি খেলা মেয়েটা ছাদের উপর থেকে তা দেখে , মেয়েটা কিন্তু আমাদের  নিতুর দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে ।   আমরা সকলে নিতুকে রাগাতে থাকি । নিতু কিন্তু কোনো মনে করেনি  । First round এ আমারা জিতি অনেক মজা করার পর  দ্বিতীয় round এর খেলা শুরু হয় ছাদের দিকে তাকিয়ে দেখি মেয়েটা ছাদে নেই ,    দ্বিতীয় round এ আমরা পেলেন্টি তে হেরে যায় , তখন দেখি মেয়েটা মাঠের ধারে দাঁড়িয়ে আছে একটা বাচ্চা ছেলে কে কোলে  নিয়ে  । আমাদের দিকে তাকাচ্ছিল আর কি যেন বলছিল, নিতাই ও ওর দিকে দুই একবার তাকায় নানা রকম ভেলকির কথা বলে তাতে সবাই হাসে । তখন মেয়েটাকে এত  গুরুত্ব না দিয়ে   আমরা বাড়ি ফিরি মেয়েটাকে নিয়ে দু একবার আলোচনা করা হয় নিতিই কে ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করে ।
প্রায় দু তিন মাস  পর যখন বাড়ি ফিরে সব্জি বাজারের  যায় তখন মেয়েটার সাথে তার আবার দেখা হয় , নিতু তখন কোন এক বন্ধূর সাথে ফোনে  কথা বলছিল আর মেয়েটা তার বাবার সঙ্গে বাজার করতে এসেছে  মেয়েটা নিতুকে দেখে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে  আর নিতুও তাকিয়ে থাকে প্রথমে চিনতে পারেনি , ওই মেয়েটা এত সুন্দর না এটা অন্যকে ও। তার বাবা সামনে যাচ্ছে আর মেয়েটা  নিতুর দিকে তাকিয়ে আছে । নিতু সহস করে জিঞ্জেস করল কি নাম , মেয়ে টা কিছু না বলে এগিয়ে আবার পিছন ফিরে তাকাতে থাকে , হয়তো তার বাবা থাকার জন্য ভয়ে নাম বলতে পারেনি ।তার হাতে একটা Android phone ছিল নিতু সঙ্গে সঙ্গে তার hotspot name টা তে my mobile number xxxxxxxxxxলেখে , আসতে করে তার কাছে গিয়ে বলে OPEN YOUR WIFI  , রিতিমত মেয়েটা তার বাবার সাথে চলে যায় আর নিতাই হা করে তাকিয়ে থাকে আর ভাবে এইটাই সেই মেয়েটা , আগে যদি সামনা সামনি দেখতাম তো আগেই ....
সেদিন রাত 9:30 নতূন নম্বর থেকে ফোন আসে আর ওপাস থেকে ভেসে আসে এক অপরূপ সুন্দর মধূর কন্ঠ  "আমি কি নিতাই গরাই এর সাথে কথা বলছি" নিতুতো একেবারে ঘাবরে ঘ হ্যাঁ না হ্যাঁ হ্যাঁ। সেদিন রাত্রে পাক্কা তিন ঘন্টা গল্প ।আর সেই দিন শুরু হয়েছিল আজও running .(collected from nitai and surajit)
আমি চাই তাদের এই ভালোবাসা চির অটুট থাকুক।
আমার প্রশ্ন হচ্ছে মেয়েটা নিতুর নাম জানলো কি করে , আর এত সহজে phone number টা নিল কি করে , (যেখানে আমার চার বছর ধরে ঝুলে আছে), আর প্রথমদিন তিন ঘন্টাধরে কি  এত কথা হল।। ??????????

Comments

Popular posts from this blog

একে ভালোবাসা বলে না একে বারোভাতারী করাবলে

Starting a love story

কে বলে মেয়েরা ভালোবাসতে পারেনা, মেয়েরা ভালোবেসে তার পরিবার কে অব্দি ছাড়তে পারে।