দুই ভালোবাসার মানুষের মধ্যে একে অপরের প্রতি বিশ্বাস থাকলে সম্পর্ক অটুট থাকবে।

আমার Ex এর উদ্দেশ্য একটা কথা - তোর সাথে দেড় দিন কথা বলে তোকে বৌ ভেবেছিল ,আর 2007 সালে registry করে 12 বছর relation এ থেকেও আজ তারা ভিন্ন বর বৌ হতে পারেনি , শুধু এক ঘর ধুয়াশা আর কুয়াশা । বর্ধমান জেলার রায়না অঞ্চলের রমেশ জানার love story শুনে মনে হচ্ছে এই রকম ঘটনা বাস্তবেও ঘটতে পারে , কিছুটা যেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও রচনা ব্যনার্জি একটা সিনেমার মতো , এই মূহুর্তে নাম টা ঠিক মনে নেই। গল্পে আসা যাক - ছেলেটির নাম রমেশ জানা মোট 7‌ ভাই বোন‌ , তিন দিদি বর্ধমানের হাই স্কুলের শিক্ষক এবং দাদার কেউ আমেরিকাই তো কেউ জার্মানিতে থাকেন ভালো profession সাথে যুক্ত । রমেশেই ছোট। , তাকে ছোটো রেখে তার মা মারা যান , তার বাবাই তাকে মানুষ করেন। তার বাবা স্কুলে শিক্ষক ছিলেন , প্রচুর সম্পত্তি রয়েছে ,প্রায় 25-30 বিঘা জমি । রমেশ অথাৎ ছোট ছেলে পড়াশোনা তে অন্যদের মতো এত ভালো ছিল না তাই passcours এ graduation complete করে আর পড়াশোনা করেনি । সে তাদের জমিতে চাষ করতে থাকে আর তার সাথে সাথে আলু Store এর শেয়ার নেয় । নিজের 26 বিঘা জমিতে আলু চাষ করে, তাদের আর্থিক অবস্থা বেশ ভালো। বর্ধমান রায়না হাই স্কুলে চাঁদা তুলতে গিয়ে একটা মেয়ের সাথে তার দেখা হয় ,তাকে দেখে তার ভালো লাগে আর ওই ভালো লাগার থেকে ভালোবাসার শুরু । মেয়েটার নাম পূজা রায় তখন class 11 পড়ে মেয়েটা , মেয়েটার বাড়ি তাদের এলাকা থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে , কিছু দিন কথাবার্তা পর ছেলেটা মেয়েটার বাবার সাথে কথা বলে, মেয়েটার বাড়ির অবস্থা নিম্ন মধ্যবিত্ত, মেয়েটার মা নেই বাবা আর একটা ছোট ভাই। 2007 সালে 8 ই আগস্ট দুই পরিবার তাদের প্রেম ভালোবাসার সম্পর্ক মেনে নিয়ে তাদের রেজেস্ট্রি করিয়ে দেয় । যেহেতু মেয়েটার বাড়ির অবস্থা নিম্ন মানের ছিল তো মেয়েটির বাবা বলেন তিনি আর পড়াতে পারেন না ,কিন্ত মেয়েটি পড়তে চাই তাই রমেশ নিজে টাকা খরচ করে H.S পাশ করান, সে বছর আলু ব্যবসাতে প্রচার টাকা লাভ করে তাই তাকে তার লাইফের lucky man ভেবেছিল , পূজা আরো পড়তে চাইলে তাকে BA complete করান , সংস্কৃত অনার্স , MA করান বর্ধমান University থেকে , তার পর আরো বিএড করতে থাকে ,এর সাথে সাথে একটা ইস্কুলে assistance teacher হিসাবে যুক্ত হয় ,সেটাও রমেশ করে দেয় ,ও টিউশনি পড়াতে থাকে । হাতে টাকা আসতে থাকে বিভিন্ন মানুষের সাথে আলাপ পরিচয় হতে থাকে , সমাজে একটা identity তৈরি হয় , তার এক মাত্র কারন রমেশের প্রচেষ্টা ও তার ভালোবাসার আসল নিদর্শন । ভালোবাসা মানে এই নয় যে বিয়ে করে গৃহবন্দী করে রাখা ,তার ইচ্ছশক্তিকে তিলে তিলে হত্যা করা , ভালোবাসা মানে হচ্ছে তার ইচ্ছা শক্তি কে গুরুত্ব দেওয়া , তার চাওয়া পাওয়াকে পুরন করা , একটা স্বাধীন জীবন দান করা যেখানে তার নিজের মর্জাদা থাকবে, নিজের পছন্দের কিছু কাজ করার জন্য কারূ কাছে অনুমতি নিত হবে না । সেই সব ঠিকেই ছিল মেয়েটির সব ইচ্ছে মেনে নিত , মেয়েটি সাথে আরো প্রচুর মানুষের পরিচয় হতে থাকে , আস্তে মেয়েটির মনে অন্য ভাবনা আসতে থাকে , আগের মতো আর ছেলেটির সাথে মেলামেশা করে না, নানা অজুহাত দেখায় , রমেশ তা বুঝতে পারেনি সে একে বারে তার প্রতি ভালোবাসা তে অন্ধ হয়ে উঠেছিল। তার মেজোদা আমেরিকা থেকে ফিরে ছেলেটি কে না বলে মেয়েটির বাড়িতে যায় , যে এবার বিয়েটা করা দরকার তখন মেয়েটি না করে দেয় । তার মেজদা বাড়িতে ফিরে তা সকল কে জানান যে মেয়েটা বিয়ে করতে অস্বীকার করে , তখন রমেশ এর মানষিক অবস্থা একবারে ভেঙ্গে পরে সেটাই স্বাভাবিক , অনেক বুঝানোর চেষ্টা করে কোন মতে রাজি হয়না, এত দিনের মেলামেশা , ঘর আসা যাওয়া তাছড়া registry সবাই কি মিথ্যা ছিল হঠাৎ করে এত পরিবর্তন । যখন দেখল মেয়েটা কোন মতে রাজি হচ্ছে না তা মেয়েটার এলাকার অঞ্চল প্রধান , পার্টি অফিসে জানানো হয় তাতেও কিছু কাজ হয় নি , শেষে কোর্টে কেস করা হয় , আর কেস করতে গেলে তার প্রমাণ হিসাবে যে registry certificate লাগবে সেটি আগেই কখন মেয়েটি নিয়ে নিয়েছে ছেলেটি বুঝতেই পারেনি , তারা relation এ থাকা কালীন একটা জয়েন্ট account খুলেছিল তাতে একটা registry certificate এর জেরক্স দিয়েছিল , manager এর সাথে ভালো বন্ধুত্ব আছে আলু ব্যবসার জন্য‌ প্রচুর লেনদেন করে ,তাই manager সাথে কথা বলে সেই জেরক্স টা বেড় করে মেয়েটির নামে কেস করে যে স্কুল লাইফে তাদের মধ্যে সম্পর্ক ছিল সেই হিসাবে registry করা হয় এখন মেয়েটি মানতে নারাজ। কেস করার কিছু দিন পর করোনা ভাইরাস এর জন্য লকডাউন চালু হয় ফলে কোর্ট বন্ধ আছ, তাই কেস বন্ধ আছে।। লকডাউনের পর হয়তো কেস টা চালু হবে কি‌ হবে জানি না , কে জিতবে জানিনা , যদি মেয়েটা জিতে তাতে হয়তো ছেলেটার কষ্ট হবে তার আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে। আর যদি ছেলেটায় জিতে যায় মেয়েটাকে বিয়ে করে তবে কি বিবাহ জীবন সুখি হবে , কেস জিতেছে মানে এমন না তো যে মেয়েটার মন জিতেছে, মেয়েটার মনটা পরিবর্তন হয়ে যাবে, তাই সিদ্ধান্ত টা ভেবে চিন্তে নেওয়া উচিত যে , মানছি ছেলেটা খুব ভালোবাসে কিন্তু মেয়েটা , না হলে বিয়ের পর আরো বেশি সমস্যা, কষ্টের সম্মুখীন হতে হতে পারে।।। আমার কথা হচ্ছে 12 বছরের সম্পর্ক মেলামেশা, তার স্বপ্ন পুরন করার চেষ্টা, সে তো পারতো তাকে আর না পড়িয়ে বিয়ে করে নিতে কিন্তু তা করেনি ,কারন প্রকৃত ভালোবাসা এটাই । কিন্ত এমন কি হল যে মেয়েটা এতটা পরিবর্তন হয়েগেল , মেয়েটার একটু বুঝা দরকার তার গুরুত্ব টা ।। গল্পটা শুনে মা মনে হচ্ছে পিছনে কোন মানুষ কাটি করছিল , আমাদের মন খুব চঞ্চল এখন এক সেকেন্ডর একটা কথা একটা মানুষকে change করে দিতে পারে । Same কোন ব্যক্তি হয়তো তাকে কোন অন্য কিছু ভাবিয়েছিল , তার week point কে কাজে লাগিয়ে তাদের সম্পর্কে ফাটল ধরাতে চেয়েছিল , সেটা হয়তো মেয়েটা বুঝতে পারেনি। আসা করি নিজের ভালো ও ভালোবাসা বুঝতে পেরে ঠিক সিদ্ধান্ত নেবে ও তাদের ওই সম্পর্ক মেনে নিয়ে বিবাহ সম্পন্ন করবে। ( All the best ) ( Collected by sukanta da) (C.d)

Comments

Popular posts from this blog

একে ভালোবাসা বলে না একে বারোভাতারী করাবলে

Starting a love story

কে বলে মেয়েরা ভালোবাসতে পারেনা, মেয়েরা ভালোবেসে তার পরিবার কে অব্দি ছাড়তে পারে।