শৈশবের স্মৃতি গুলো আজও হাত ছানি দেয়
আমরা যারা 1990 --1999 সালের মধ্যে
জন্মেছি আমরা বিশেষ কিছু ছিলাম না, তবে
আমরা যথেষ্ট ভাগ্যবান ছিলাম ।।
যখন আমরা ছোট ছিলাম....
হাতগুলো জামার মধ্যে
ঢুকিয়ে নিয়ে বলতাম,
আমার হাত নেই,
একটা কলম ছিল,
যার চার রকম কালি,
আর আমরা তার চারটে
বোতাম একসাথে টেপার চেষ্টা করতাম,
দরজার পেছনে লুকিয়ে থাকতাম
কেউ এলে চমকে দেবো বলে,
সে আসতে দেরি করছে বলে
অধৈর্য হয়ে বেরিয়ে আসতাম,
ভাবতাম আমি যেখানে যাচ্ছি,
চাঁদটাও আমার সঙ্গে সঙ্গে যাচ্ছে
সুইচের দুদিকে আঙুল চেপে সুইচটাকে অন্-অফ
এর মাঝামাঝি অবস্থাই আনার করার চেষ্টা
করতাম.
তখন আমাদের শুধু একটা জিনিসের খেয়াল
রাখার দায়িত্ব ছিলো, স্কুলে যাওয়ার পর বই-
খাতা ।।
ক্লাসে বসে কলম-কলম খেলা,খাতায় ক্রিকেট,
চোর-ডাকাত-বাবু-পুলিশ খেলতাম ।
স্কুল ছুটির পর কটকটি, বস্তা আইসক্রিম, পাইপ
আইসক্রিম, হাওয়াই মিঠা না খেতে পারলে
মনটাই খারাপ হয়ে যেত ।
নারিকেল গাছের পাতা টেনে ঝুলে থাকতাম
স্কুলে সিড়ি দিয়ে না নেমে রেলিং এ বসে
স্লিপ খেয়ে নামার মজাই ছিল অন্যরকম ।
স্কুল ছুটি হলে দৌড়ে বাসায় আসতাম মিনা
কার্টুন ,শক্তিমান,শুক্রবারে দুপুর ৩টা থেকে
অপেক্ষা করতাম কখন বিটিভিতে বাংলা
সিনেমা শুরু হবে,
এবং সন্ধার পরে আলিফ লায়লা,সিন্দাবা
দ,রবিনহুড,টিম নাইট রাইডার দেখার জন্য পুরো
সপ্তাহ অপেক্ষা করতাম।
ফলের দানা খেয়ে ফেললে দুশ্চিন্তা
করতাম.....
পেটের মধ্যে এবার গাছ হবে
ঘরের মধ্যে ছুটে যেতাম,তারপর
কি দরকার ভুলে যেতাম,
ঘর থেকে বেরিয়ে আসার পর মনে পড়ত....
যখন আমরা ছোট ছিলাম তখন ধৈর্য্য সহ্য হতো
না যে কবে বড় হবো.........
আর এখন মনে করি, কেন যে বড় হলাম !
বিকেলে কুতকুত না খেললে বিকালটাই মাটি
হয়ে যেত ।
ফাইনাল পরীক্ষা যেহেতু শেষ সেহেতু সকালে
পড়া নাই। এত মজা কই রাখি?নানু বাড়ি,দাদু
বাড়ি যাওয়ার এই তো সময়
ব্যাডমিন্টন,ক্যারাম,সাপ-লুডু না খেললে কি
হয়!
ডিসেম্বর মাস আর শীতকালটা আমাদের
ছেলেবেলায় এমনি কালারফুল ছিল। তবে
ডিসেম্বরের ৩১ তারিখ যত আগাইয়া আসত
মনের মধ্যে ভয় তত বাড়ত। ওইদিন যে
ফাইনালের রেজাল্ট দিবে
আজকাল ছেলে মেয়েদের শীতকাল ,গরমকাল
নাই। রুটিন সেই একটাই। বাসা ,স্কুল ,কলেজ
,কোচিং ,ফেসবুক ,চ্যাটং।
আর আমরা কলেজে উঠার আগ পর্যন্ত মন
খারাপ ,ফ্রাসটেশন কি জিনিস বুঝতামি না।
মন খারাপ মানে হইল ম্যাচের সময় প্রাইভেট
থাকা।
.
নব্বই থেকে ২০০০ এর পর ছেলেবেলার সে
দিনগুলোতে আমরা হয়ত ক্ষেত ছিলাম
,আমাদের এত এত উচ্চমার্গীয় জ্ঞ্যান ছিলনা
হয়ত লেমও ছিলাম কিন্তু আমাদের সারাজীবন
মনে রাখার মত একটা ছেলেবেলা ছিল
আমি জানি আমাদের জেনারেশনের যারা
এগুলো পড়ছো,তোমাদের মুখে হাসি ফুটে
উঠেছে,
ছোটবেলায় সবথেকে বেশিবার জিজ্ঞাসিত
প্রশ্নটার উত্তর আমি পেয়েছি অবশেষে...
-তুমি বড়ো হয়ে কি হতে চাও ?
উত্তর- "আবার ছোট হতে চাই ।
যেই বড় হওয়ার স্বপ্ন দেখে শৈশবটাই কাটিয়ে
দিলাম
আজ একটাই দুঃখ, কেন শৈশব হারালাম।।।
#collected
জন্মেছি আমরা বিশেষ কিছু ছিলাম না, তবে
আমরা যথেষ্ট ভাগ্যবান ছিলাম ।।
যখন আমরা ছোট ছিলাম....
হাতগুলো জামার মধ্যে
ঢুকিয়ে নিয়ে বলতাম,
আমার হাত নেই,
একটা কলম ছিল,
যার চার রকম কালি,
আর আমরা তার চারটে
বোতাম একসাথে টেপার চেষ্টা করতাম,
দরজার পেছনে লুকিয়ে থাকতাম
কেউ এলে চমকে দেবো বলে,
সে আসতে দেরি করছে বলে
অধৈর্য হয়ে বেরিয়ে আসতাম,
ভাবতাম আমি যেখানে যাচ্ছি,
চাঁদটাও আমার সঙ্গে সঙ্গে যাচ্ছে
সুইচের দুদিকে আঙুল চেপে সুইচটাকে অন্-অফ
এর মাঝামাঝি অবস্থাই আনার করার চেষ্টা
করতাম.
তখন আমাদের শুধু একটা জিনিসের খেয়াল
রাখার দায়িত্ব ছিলো, স্কুলে যাওয়ার পর বই-
খাতা ।।
ক্লাসে বসে কলম-কলম খেলা,খাতায় ক্রিকেট,
চোর-ডাকাত-বাবু-পুলিশ খেলতাম ।
স্কুল ছুটির পর কটকটি, বস্তা আইসক্রিম, পাইপ
আইসক্রিম, হাওয়াই মিঠা না খেতে পারলে
মনটাই খারাপ হয়ে যেত ।
নারিকেল গাছের পাতা টেনে ঝুলে থাকতাম
স্কুলে সিড়ি দিয়ে না নেমে রেলিং এ বসে
স্লিপ খেয়ে নামার মজাই ছিল অন্যরকম ।
স্কুল ছুটি হলে দৌড়ে বাসায় আসতাম মিনা
কার্টুন ,শক্তিমান,শুক্রবারে দুপুর ৩টা থেকে
অপেক্ষা করতাম কখন বিটিভিতে বাংলা
সিনেমা শুরু হবে,
এবং সন্ধার পরে আলিফ লায়লা,সিন্দাবা
দ,রবিনহুড,টিম নাইট রাইডার দেখার জন্য পুরো
সপ্তাহ অপেক্ষা করতাম।
ফলের দানা খেয়ে ফেললে দুশ্চিন্তা
করতাম.....
পেটের মধ্যে এবার গাছ হবে
ঘরের মধ্যে ছুটে যেতাম,তারপর
কি দরকার ভুলে যেতাম,
ঘর থেকে বেরিয়ে আসার পর মনে পড়ত....
যখন আমরা ছোট ছিলাম তখন ধৈর্য্য সহ্য হতো
না যে কবে বড় হবো.........
আর এখন মনে করি, কেন যে বড় হলাম !
বিকেলে কুতকুত না খেললে বিকালটাই মাটি
হয়ে যেত ।
ফাইনাল পরীক্ষা যেহেতু শেষ সেহেতু সকালে
পড়া নাই। এত মজা কই রাখি?নানু বাড়ি,দাদু
বাড়ি যাওয়ার এই তো সময়
ব্যাডমিন্টন,ক্যারাম,সাপ-লুডু না খেললে কি
হয়!
ডিসেম্বর মাস আর শীতকালটা আমাদের
ছেলেবেলায় এমনি কালারফুল ছিল। তবে
ডিসেম্বরের ৩১ তারিখ যত আগাইয়া আসত
মনের মধ্যে ভয় তত বাড়ত। ওইদিন যে
ফাইনালের রেজাল্ট দিবে
আজকাল ছেলে মেয়েদের শীতকাল ,গরমকাল
নাই। রুটিন সেই একটাই। বাসা ,স্কুল ,কলেজ
,কোচিং ,ফেসবুক ,চ্যাটং।
আর আমরা কলেজে উঠার আগ পর্যন্ত মন
খারাপ ,ফ্রাসটেশন কি জিনিস বুঝতামি না।
মন খারাপ মানে হইল ম্যাচের সময় প্রাইভেট
থাকা।
.
নব্বই থেকে ২০০০ এর পর ছেলেবেলার সে
দিনগুলোতে আমরা হয়ত ক্ষেত ছিলাম
,আমাদের এত এত উচ্চমার্গীয় জ্ঞ্যান ছিলনা
হয়ত লেমও ছিলাম কিন্তু আমাদের সারাজীবন
মনে রাখার মত একটা ছেলেবেলা ছিল
আমি জানি আমাদের জেনারেশনের যারা
এগুলো পড়ছো,তোমাদের মুখে হাসি ফুটে
উঠেছে,
ছোটবেলায় সবথেকে বেশিবার জিজ্ঞাসিত
প্রশ্নটার উত্তর আমি পেয়েছি অবশেষে...
-তুমি বড়ো হয়ে কি হতে চাও ?
উত্তর- "আবার ছোট হতে চাই ।
যেই বড় হওয়ার স্বপ্ন দেখে শৈশবটাই কাটিয়ে
দিলাম
আজ একটাই দুঃখ, কেন শৈশব হারালাম।।।
#collected
Comments
Post a Comment